ঢাকা, বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কাল শিল্পী মর্তুজা বশিরের জন্মদিন  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৬, ১৬ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

 

কাল ১৭ আগস্ট শিল্পী মর্তুজা বশিরের ৮৭তম জন্মদিন। বাবা ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আর মা মরগুবা খাতুনের ৯ ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবার ছোট মুর্তজা বশির ১৯৩২ সালেরে এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই মেয়ে এবং এক ছেলের পিতা। ছোট মেয়ে এবং ছেলে ব্যাংকার। বড় মেয়ে কাছাকাছি থাকেন তাদের। মর্তুজা বশির ও তার স্ত্রী এখন ঢাকায় কাটান।

তিনি জানান, ছেলেমেয়েরা কেউ আঁকাআঁকি করে না। ছোট মেয়েটা চেয়েছিল। আমি উৎসাহ দিইনি। চিত্রশিল্পীর জীবন বড় কষ্টের। আমি চাইনি আমার ছেলেমেয়েরা এই কষ্ট করুক।

মুর্তজা বশির আরও বলেন,  ছোটবেলায় আমি আসলে ভাবিনি আর্টিস্ট হব। কমিউনিস্ট পার্টি চেয়েছিল বলে আর্ট কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। আমার বাবাও বলেছিলেন, প্যারিসে আমি দেখেছি আর্টিস্টের জীবন খুব কষ্টের। আমি চাই না আমার ছেলে সেই কষ্টের ভেতর দিয়ে যাক। পরে অবশ্য রাজি হন তিনি। বাবার টাকায় ইতালিতে পড়তে যাই। ১৯৫৬ সাল থেকে ৫৮ সাল পর্যন্ত ইতালির ফ্লোরেন্সে ছিলাম। আমার বাবা অবশ্য চেয়েছিলেন আমি ইউরোপ যাই।

তিনি আরও বলেন, ছবি আঁকা অনেকটা সন্তান প্রসবের মতো। পূর্ণ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার জন্য নয় মাস দশ দিন ধরে বহন করতে হয়। তার আগে হলে অসম্পূর্ণ হয়। তবে একটা জিনিস আছে, ধরো আমি ঠিক করেছি কোন কোন রং দিয়ে আঁকব। নীল কমলা। কিন্তু আঁকতে গিয়ে দেখলাম পেলেটে অন্য রং আছে। লাল সবুজ। তখন আমি ওই রং ফেলে দেই না। ওই রং দিয়েই আঁকি। রং ফেলে দিতে মায়া লাগে। যে রং দিয়ে যেভাবে আঁকব ভেবেছিলাম। আঁকতে গিয়ে সেটা বদলে ফেলতে হয়। হয়তো ভেবে রাখা ছবিটিই আঁকছি, তবে ভেবে রাখা রঙে নয়। এর কারণ হলো, আমাদের দেশে রং পাওয়া যায় না। আরেকটা ব্যাপারও আছে। কোনো ধরাবাঁধা রঙে আটকে থাকতে চাই না। আর্টিস্টের যদি কোনো রঙের প্রতি দুর্বলতা থাকে তাহলে শিল্প সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।

 

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি